শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

এক পশলা বৃষ্টি By তুহিন

একাকী আমার জীবনটা অনেক ভালো ছিল ,যে জীবনে কোন স্বপ্ন ছিল না ,ছিল না কোন চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ,ছিল না কোন প্রাপ্তি আর হারানোর বেদনা ।হঠাৎ করে তোমার অল্প কিছু দিনের অবস্থান আমার জীবনটা কে বদলে দিল ।হ্যাঁ সত্যিই অনেক স্বপ্ন আর কিছু অন্য রকম অনুভূতি জন্মদিল আমার মাঝে ।কিন্তু এক পসলা বৃষ্টির মত হঠাৎ করে তোমারচলে যাওয়াটা অনেক বেশী বদলে ফেলেছে আমাকে ,আবার একা করে ফেলেছে আমাকে ।কিন্তু বিশ্বাস করো সেই একাকী জীবন আর আজকের এইএকাকীত্বতার মাঝে যে অনে ব্যবধান সেটা আমি বুঝি ।আমার সেই একাকী জীবন কোনদিনও দুঃখ দেয়নি আমাকে ,কিন্তু আজকের এই একাকীত্বতার জীবন একটু সুখদেয়নি আমাকে ,শুধু দিয়েছে চোখের কুনে কিছু অশ্রু ফোঁটা আর কিছু নির্ঘুমরাত ।

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

অমর প্রেম আমার by. তুহিন

বার বার অপলক দৃষ্টি নিয়ে দেখে যাই
তোমায়যতবার দেখি ,আর যতবার দেখেছি আপন
মনেতবুও বার বার অতৃপ্তি থেকে যায় ।ও চোখের
গহিনে যে স্বপ্ন দেখিদেখি বেঁচে থাকার প্রয়াস
,এ তো এ জন্মের নয়এ তো পূর্ব জন্মের ।তবু তোমাকে
দেখার সাধ মিটে না ।অপলক দৃষ্টি নিয়ে ততবার
দেখেছি যতবার বাঁচারআকুতি ছিলো হৃদে ।তবুও যে
অতৃপ্ত !তবে জেনে গেছি আমিহ্যাঁ খুব করে জেনে
গেছি এ জন্মে তোমায় দেখারতৃপ্তি হবে না ।
শর্তবিহীন আজীবন তোমাকে দেখার আদম্ম ইচ্ছে
কেবুকের রাজ ফটকে বন্দী করেশেষ বারবের মত
অপলক তোমায় দেখে দেখে যেতে যেতেচিৎকার
করে বলে যাবো ,এ জন্ম আমার বৃথা ,এ জন্ম আমার
নিরাশ ,তোমায় আরও দেখার ইচ্ছে ছিলো

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

মেহেদি পাতা posted by তুহিন

মেহেদি পাতা
অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?
উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-
নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো,
মনে হয় কেন?
উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-
এমন সব বড় বড় গর্ত যে-
তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?
বিরক্ত হচ্ছ না তো?
ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে
পারে-
সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
আমার জানা ছিলো না।
তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার
ভিতর-
আমার বাহির-
আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।
অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে-
ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে-
ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না,
আমি জানি-
কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-
আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।
উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
তোমার সেই ভালোবাসা
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
তোমার স্বৃতি।
আমি আগলাতেও পারি না,
আমি ফেলতেও পারি না।
শুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি-
একলা আমি-
কষ্টের তুষার পাহারে।
অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন –
যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই।
তবুও,
তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
ভেজা মেঘের মতো-
অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে-
জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো?
চলে এসো, চলে এসো-
বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো
আর হাসনা হেনা ফুটাবো।
সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত,
তাই আজ আমার সবকিছু,
আমার এক রোখা জেদ,
তুমি হীনা শুখী অনেক স্বাপ্ন!
সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে-
তোমার সামনে আমি নত জানু-
আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও।
কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।
অনন্ত, আমি জানি-
এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
প্রচন্ড এক অভিমানে-
ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
উঠোন জোরার উপর কলস-
তুলসি তলের ঝড়া পাতা,
কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা,
একলা ঘরে এই অনন্ত-
একা শুয়ে থাকা।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
কেন তুমি নষ্ট হলে?
কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
কেউ জানে না, আমি জানি-
আমিই জানি।
আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে
আসছি।
অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু
দিও।
ভালো থেকো!
তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

পৃথিবীর দামী বাক্য

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য
হলোঃ
___ ﻵ ﺍِﻟَﻪَ ﺍِﻟّﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ ﺭَﺳُﻮُ ﺍﻟﻠّﻪِ
____লা-ইলাহাইলল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। (সাঃ)

শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫

উপলব্ধি

কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।
অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।
এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো
হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।
যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,

কিছু প্রেম কিছু দীর্ঘশ্বাস writter রোমেল চৌধুরী


গোধূলির পথে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িয়ে পেলাম
সূর্যের কিছু রেণু;
যত্ন করে রাখতে গেলাম চোখে...
শঙ্কা ভীষণ হলো
যদি চোখের জলে হারিয়ে ফেলি ওকে!

দুষ্টু তো হয়েছ ভারি...
যখন তখন শুধু খুনসুটি!
অকারণ অভিমানে ঠোঁট ফোলাচ্ছ, ভ্রুকুঞ্চনে আঁকছ
কপট রাগ
কনে আঙ্গুল দেখাচ্ছ, দিচ্ছ আড়ি
অথচ সময় দেখ কেমন বয়ে যাচ্ছে নিস্তরঙ্গ
গোধূলির ছায়াপথে তার গোলাপি রেখার দাগ
হায় যদি ফিরিয়ে দিতো যৌবনের পরাগ!

ছাড়ো খুনসুটি!
ফুরিয়ে যাবার আগে
এসো একবার চুপচাপ কাছাকাছি বসি...
অভিমান দূরে থাক
চুমুগুলো উড়ে যাক এক ঝাঁক বুনো কপোতের মতো
খুঁজে পাক পিছুডাক
ঠোঁটে ঠোঁটে অস্ফুট শিহরিত উল্লাস যতো!

ভোরের আলো-আঁধারে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


ভোরের আলো-আঁধারে
থেকে থেকে উঠছে কোকিলের ডাক
যেন ক্ষণে ক্ষণে শব্দের আতশবাজি।
ছেঁড়া মেঘ ছড়িয়েছে আকাশে
একটু একটু সোনার লিখন নিয়ে।
হাটের দিন,
মাঠের মাঝখানকার পথে
চলেছে গোরুর গাড়ি।
কলসীতে নতুন আখের গুড়, চালের বস্তা,
গ্রামের মেয়ে কাঁখের ঝুড়িতে নিয়েছে
কচুশাক, কাঁচা আম, শজনের ডাঁটা।
ছটা বাজল ইস্কুলের ঘড়িতে।
ঐ ঘণ্টার শব্দ আর সকাল বেলাকার কাঁচা রোদ্দুরের রঙ
মিলে গেছে আমার মনে।
আমার ছোটো বাগানের পাঁচিলের গায়ে
বসেছি চৌকি টেনে
করবীগাছের তলায়।
পুবদিক থেকে রোদ্দুরের ছটা
বাঁকা ছায়া হানছে ঘাসের 'পরে।
বাতাসে অস্থির দোলা লেগেছে
পাশাপাশি দুটি নারকেলের শাখায়।
মনে হচ্ছে যমজ শিশুর কলরবের মতো।
কচি দাড়িম ধরেছে গাছে
চিকন সবুজের আড়ালে।
চৈত্রমাস ঠেকল এসে শেষ হপ্তায়।
আকাশে ভাসা বসন্তের নৌকোয়
পাল পড়েছে ঢিলে হয়ে।
দূর্বাঘাস উপবাসে শীর্ণ;
কাঁকর-ঢালা পথের ধারে
বিলিতি মৌসুমি চারায়
ফুলগুলি রঙ হারিয়ে সংকুচিত।
হাওয়া দিয়েছে পশ্চিম দিক থেকে,--
বিদেশী হাওয়া চৈত্রমাসের আঙিনাতে।
গায়ে দিতে হল আবরণ অনিচ্ছায়।
বাঁধানো জলকুণ্ডে জল উঠছে শিরশিরিয়ে,
টলমল করছে নালগাছের পাতা,
লাল মাছ কটা চঞ্চল হয়ে উঠল।
নেবুঘাস ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে
খেলা-পাহাড়ের গায়ে।
তার মধ্যে থেকে দেখা যায়
গেরুয়া পাথরের চতুর্মুখ মূর্তি।
সে আছে প্রবহমান কালের দূর তীরে
উদাসীন;
ঋতুর স্পর্শ লাগে না তার গায়ে।
শিল্পের ভাষা তার,
গাছপালার বাণীর সঙ্গে কোনো মিল নেই।
ধরণীর অন্তঃপুর থেকে যে শুশ্রূষা
দিনে রাতে সঞ্চারিত হচ্ছে
সমস্ত গাছের ডালে ডালে পাতায় পাতায়,
ঐ মূর্তি সেই বৃহৎ আত্মীয়তার বাইরে।
মানুষ আপন গূঢ় বাক্য অনেক কাল আগে
যক্ষের মৃত ধনের মতো
ওর মধ্যে রেখেছে নিরুদ্ধ ক'রে,
প্রকৃতির বাণীর সঙ্গে তার ব্যবহার বন্ধ।
সাতটা বাজল ঘড়িতে।
ছড়িয়ে-পড়া মেঘগুলি গেছে মিলিয়ে।
সূর্য উঠল প্রাচীরের উপরে,
ছোটো হয়ে গেল গাছের যত ছায়া।
খিড়কির দরজা দিয়ে
মেয়েটি ঢুকল বাগানে।
পিঠে দুলছে ঝালরওআলা বেণী,
হাতে কঞ্চির ছড়ি;
চরাতে এনেছে
একজোড়া রাজহাঁস,
আর তার ছোটো ছোটো ছানাগুলিকে।
হাঁস দুটো দাম্পত্য দায়িত্বের মর্যাদায় গম্ভীর,
সকলের চেয়ে গুরুতর ঐ মেয়েটির দায়িত্ব
জীবপ্রাণের দাবি স্পন্দমান
ছোট ঐ মাতৃমনের স্নেহরসে।
আজকের এই সকালটুকুকে
ইচ্ছে করেছি রেখে দিতে।
ও এসেছে অনায়াসে,
অনায়াসেই যাবে চলে।
যিনি দিলেন পাঠিয়ে
তিনি আগেই এর মূল্য দিয়েছেন শোধ ক'রে
আপন আনন্দ-ভাণ্ডার থেকে।