শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

এক পশলা বৃষ্টি By তুহিন

একাকী আমার জীবনটা অনেক ভালো ছিল ,যে জীবনে কোন স্বপ্ন ছিল না ,ছিল না কোন চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ,ছিল না কোন প্রাপ্তি আর হারানোর বেদনা ।হঠাৎ করে তোমার অল্প কিছু দিনের অবস্থান আমার জীবনটা কে বদলে দিল ।হ্যাঁ সত্যিই অনেক স্বপ্ন আর কিছু অন্য রকম অনুভূতি জন্মদিল আমার মাঝে ।কিন্তু এক পসলা বৃষ্টির মত হঠাৎ করে তোমারচলে যাওয়াটা অনেক বেশী বদলে ফেলেছে আমাকে ,আবার একা করে ফেলেছে আমাকে ।কিন্তু বিশ্বাস করো সেই একাকী জীবন আর আজকের এইএকাকীত্বতার মাঝে যে অনে ব্যবধান সেটা আমি বুঝি ।আমার সেই একাকী জীবন কোনদিনও দুঃখ দেয়নি আমাকে ,কিন্তু আজকের এই একাকীত্বতার জীবন একটু সুখদেয়নি আমাকে ,শুধু দিয়েছে চোখের কুনে কিছু অশ্রু ফোঁটা আর কিছু নির্ঘুমরাত ।

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

অমর প্রেম আমার by. তুহিন

বার বার অপলক দৃষ্টি নিয়ে দেখে যাই
তোমায়যতবার দেখি ,আর যতবার দেখেছি আপন
মনেতবুও বার বার অতৃপ্তি থেকে যায় ।ও চোখের
গহিনে যে স্বপ্ন দেখিদেখি বেঁচে থাকার প্রয়াস
,এ তো এ জন্মের নয়এ তো পূর্ব জন্মের ।তবু তোমাকে
দেখার সাধ মিটে না ।অপলক দৃষ্টি নিয়ে ততবার
দেখেছি যতবার বাঁচারআকুতি ছিলো হৃদে ।তবুও যে
অতৃপ্ত !তবে জেনে গেছি আমিহ্যাঁ খুব করে জেনে
গেছি এ জন্মে তোমায় দেখারতৃপ্তি হবে না ।
শর্তবিহীন আজীবন তোমাকে দেখার আদম্ম ইচ্ছে
কেবুকের রাজ ফটকে বন্দী করেশেষ বারবের মত
অপলক তোমায় দেখে দেখে যেতে যেতেচিৎকার
করে বলে যাবো ,এ জন্ম আমার বৃথা ,এ জন্ম আমার
নিরাশ ,তোমায় আরও দেখার ইচ্ছে ছিলো

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

মেহেদি পাতা posted by তুহিন

মেহেদি পাতা
অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?
উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-
নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো,
মনে হয় কেন?
উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-
এমন সব বড় বড় গর্ত যে-
তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?
বিরক্ত হচ্ছ না তো?
ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে
পারে-
সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
আমার জানা ছিলো না।
তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার
ভিতর-
আমার বাহির-
আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।
অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে-
ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে-
ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না,
আমি জানি-
কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-
আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।
উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
তোমার সেই ভালোবাসা
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
তোমার স্বৃতি।
আমি আগলাতেও পারি না,
আমি ফেলতেও পারি না।
শুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি-
একলা আমি-
কষ্টের তুষার পাহারে।
অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন –
যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই।
তবুও,
তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
ভেজা মেঘের মতো-
অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে-
জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো?
চলে এসো, চলে এসো-
বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো
আর হাসনা হেনা ফুটাবো।
সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত,
তাই আজ আমার সবকিছু,
আমার এক রোখা জেদ,
তুমি হীনা শুখী অনেক স্বাপ্ন!
সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে-
তোমার সামনে আমি নত জানু-
আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও।
কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।
অনন্ত, আমি জানি-
এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
প্রচন্ড এক অভিমানে-
ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
উঠোন জোরার উপর কলস-
তুলসি তলের ঝড়া পাতা,
কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা,
একলা ঘরে এই অনন্ত-
একা শুয়ে থাকা।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
কেন তুমি নষ্ট হলে?
কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
কেউ জানে না, আমি জানি-
আমিই জানি।
আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে
আসছি।
অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু
দিও।
ভালো থেকো!
তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

পৃথিবীর দামী বাক্য

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য
হলোঃ
___ ﻵ ﺍِﻟَﻪَ ﺍِﻟّﺎ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ ﺭَﺳُﻮُ ﺍﻟﻠّﻪِ
____লা-ইলাহাইলল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। (সাঃ)

শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫

উপলব্ধি

কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।
অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।
এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো
হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।
যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,

কিছু প্রেম কিছু দীর্ঘশ্বাস writter রোমেল চৌধুরী


গোধূলির পথে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িয়ে পেলাম
সূর্যের কিছু রেণু;
যত্ন করে রাখতে গেলাম চোখে...
শঙ্কা ভীষণ হলো
যদি চোখের জলে হারিয়ে ফেলি ওকে!

দুষ্টু তো হয়েছ ভারি...
যখন তখন শুধু খুনসুটি!
অকারণ অভিমানে ঠোঁট ফোলাচ্ছ, ভ্রুকুঞ্চনে আঁকছ
কপট রাগ
কনে আঙ্গুল দেখাচ্ছ, দিচ্ছ আড়ি
অথচ সময় দেখ কেমন বয়ে যাচ্ছে নিস্তরঙ্গ
গোধূলির ছায়াপথে তার গোলাপি রেখার দাগ
হায় যদি ফিরিয়ে দিতো যৌবনের পরাগ!

ছাড়ো খুনসুটি!
ফুরিয়ে যাবার আগে
এসো একবার চুপচাপ কাছাকাছি বসি...
অভিমান দূরে থাক
চুমুগুলো উড়ে যাক এক ঝাঁক বুনো কপোতের মতো
খুঁজে পাক পিছুডাক
ঠোঁটে ঠোঁটে অস্ফুট শিহরিত উল্লাস যতো!

ভোরের আলো-আঁধারে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


ভোরের আলো-আঁধারে
থেকে থেকে উঠছে কোকিলের ডাক
যেন ক্ষণে ক্ষণে শব্দের আতশবাজি।
ছেঁড়া মেঘ ছড়িয়েছে আকাশে
একটু একটু সোনার লিখন নিয়ে।
হাটের দিন,
মাঠের মাঝখানকার পথে
চলেছে গোরুর গাড়ি।
কলসীতে নতুন আখের গুড়, চালের বস্তা,
গ্রামের মেয়ে কাঁখের ঝুড়িতে নিয়েছে
কচুশাক, কাঁচা আম, শজনের ডাঁটা।
ছটা বাজল ইস্কুলের ঘড়িতে।
ঐ ঘণ্টার শব্দ আর সকাল বেলাকার কাঁচা রোদ্দুরের রঙ
মিলে গেছে আমার মনে।
আমার ছোটো বাগানের পাঁচিলের গায়ে
বসেছি চৌকি টেনে
করবীগাছের তলায়।
পুবদিক থেকে রোদ্দুরের ছটা
বাঁকা ছায়া হানছে ঘাসের 'পরে।
বাতাসে অস্থির দোলা লেগেছে
পাশাপাশি দুটি নারকেলের শাখায়।
মনে হচ্ছে যমজ শিশুর কলরবের মতো।
কচি দাড়িম ধরেছে গাছে
চিকন সবুজের আড়ালে।
চৈত্রমাস ঠেকল এসে শেষ হপ্তায়।
আকাশে ভাসা বসন্তের নৌকোয়
পাল পড়েছে ঢিলে হয়ে।
দূর্বাঘাস উপবাসে শীর্ণ;
কাঁকর-ঢালা পথের ধারে
বিলিতি মৌসুমি চারায়
ফুলগুলি রঙ হারিয়ে সংকুচিত।
হাওয়া দিয়েছে পশ্চিম দিক থেকে,--
বিদেশী হাওয়া চৈত্রমাসের আঙিনাতে।
গায়ে দিতে হল আবরণ অনিচ্ছায়।
বাঁধানো জলকুণ্ডে জল উঠছে শিরশিরিয়ে,
টলমল করছে নালগাছের পাতা,
লাল মাছ কটা চঞ্চল হয়ে উঠল।
নেবুঘাস ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে
খেলা-পাহাড়ের গায়ে।
তার মধ্যে থেকে দেখা যায়
গেরুয়া পাথরের চতুর্মুখ মূর্তি।
সে আছে প্রবহমান কালের দূর তীরে
উদাসীন;
ঋতুর স্পর্শ লাগে না তার গায়ে।
শিল্পের ভাষা তার,
গাছপালার বাণীর সঙ্গে কোনো মিল নেই।
ধরণীর অন্তঃপুর থেকে যে শুশ্রূষা
দিনে রাতে সঞ্চারিত হচ্ছে
সমস্ত গাছের ডালে ডালে পাতায় পাতায়,
ঐ মূর্তি সেই বৃহৎ আত্মীয়তার বাইরে।
মানুষ আপন গূঢ় বাক্য অনেক কাল আগে
যক্ষের মৃত ধনের মতো
ওর মধ্যে রেখেছে নিরুদ্ধ ক'রে,
প্রকৃতির বাণীর সঙ্গে তার ব্যবহার বন্ধ।
সাতটা বাজল ঘড়িতে।
ছড়িয়ে-পড়া মেঘগুলি গেছে মিলিয়ে।
সূর্য উঠল প্রাচীরের উপরে,
ছোটো হয়ে গেল গাছের যত ছায়া।
খিড়কির দরজা দিয়ে
মেয়েটি ঢুকল বাগানে।
পিঠে দুলছে ঝালরওআলা বেণী,
হাতে কঞ্চির ছড়ি;
চরাতে এনেছে
একজোড়া রাজহাঁস,
আর তার ছোটো ছোটো ছানাগুলিকে।
হাঁস দুটো দাম্পত্য দায়িত্বের মর্যাদায় গম্ভীর,
সকলের চেয়ে গুরুতর ঐ মেয়েটির দায়িত্ব
জীবপ্রাণের দাবি স্পন্দমান
ছোট ঐ মাতৃমনের স্নেহরসে।
আজকের এই সকালটুকুকে
ইচ্ছে করেছি রেখে দিতে।
ও এসেছে অনায়াসে,
অনায়াসেই যাবে চলে।
যিনি দিলেন পাঠিয়ে
তিনি আগেই এর মূল্য দিয়েছেন শোধ ক'রে
আপন আনন্দ-ভাণ্ডার থেকে।

ভোর posted by M

ভোরের সকাল তোমাকে দিলাম
কুয়াশা দিও
দূর্বা'র ডগায়
চৈতন্য জুড়ে উন্মত্ত্বতা
নির্বাসিত ভেতরের আমি
কখন যে সাগর বনে যাই
ঢেউ একান্তই নিজস্বতা
মর্মর মহুয়া বনে
ফাল্গুনী সমিরন বহে বাতায়নে
কখন যে আকাশ হয়ে যাই
উতলা করো দাও পূর্ণতা।
#সংগৃহিত

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫

জীবনের কিছু চাওয়া-পাওয়া শুধুই যেন
গল্প, সিনেমা ও নাটকেই হয় মাত্র!
বাস্তবে তা যেন দুরহ!
তবুও আমাদের স্বপ্নের শেষ নেই!
স্বপ্নডিঙ্গায় হাল না ছাড়া মাঝি যেন আমরা
সকলেই
কোনো না কোনো সময় উত্সাহে উজ্জীবিত!
যা কিছুই ঘটুক না কেন চারপাশে জীবন চলার পথে-
প্রত্যয়ে থাকুক মেনে নেয়ার স্বাভাবিকতা!
মানুষের উত্সাহে মানুষ এগিয়ে যায়.....
মানুষের অবহেলায় মানুষ কষ্ট পায়....!!

কল্পনার জগত by মানছুর

কল্পনাকে রং দিয়ে সাজিয়ে বাস্তবে পরিণত
করতে পারলে জীবনে সবচেয়ে বেশী ভাল লাগবে
যদি কল্পনাটা মধুর হয়|তবে কল্পনা যে সবসময় মধুর
হবে তা কি আর নিশ্চিত করা যায়!সুখের কল্পনা
করতে করতে দেখবেন হঠাৎ করেই মনের অজান্তে
দুখের কল্পনা চলে আসছে|কল্পনা অতীত,বর্তমান,ভব
িষ্যত সবকিছুকেই নিয়ে হতে পারে|তবে মানুষ
বর্তমানকে নিয়ে তেমন কল্পনা করেনা|কল্পনা করে
নাই এমন মানুষ পাওয়া যাবে না এমন নয়,যারা
জন্মের সাথে সাথেই মারা গেছে শুধু তারাই ঐ দলে|
আর সবাই কল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে|আর এই কল্পনার
মধ্যই আমরা হারিয়ে যাই সুখ কিংবা দুখের
পাথারে|কল্পনাকে কল্পনা করতে করতে আমরা চলে
যাব কল্পনার জগত সংসারকে ছেড়ে||.

ঘৃনা আর ভালোবাসা posted by Hemayet

হৃদয়ের আঙ্গিনায় তুমি ছিলে,তুমি আছো,তুমি
থাকবে|তোমার হৃদয়টার SAN নষ্ট হয়ে গেলে আমার
হৃদয়ের পেসমেকার কে তোমার হার্টে লাগিয়ে
দেবো|নিবে কি তুমি?নিশ্চয়ই তুমি নেবে না|কারন
তুমি তো আমাকে ঘৃনা কর|যাক তবুও তো আমাকে
তুমি মনে কর!ভালবাসা না হয় চার অক্ষরের কিন্তু
ঘৃনাতেও তো দুটি অক্ষর আছে|তুমি তো তাও
আমাকে একটা কিছু কর,সেটা হোক না ঘৃনা| তাতে
কি?আমি তো তোমাকে ঠিকি ভালবাসি|এটাই
আমার জন্য অনেক কিছু||

স্বপ্নে উড়া পাখি posted by সানজিদা

কখনো কি লিখেছো সপ্নের কবিতা হৃদয়ে
ভালোবাসার শ্রাবণ নামবে মনের
আকাশ ছুয়ে।
এক আকাশে উড়বো দুজন সপ্নের
ডানা মেলে, করবো তোমায়
আলোকিত সুখের প্রদিপ জেলে,
চাওয়া পাওয়ার সপ্নে!!!

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

কিছু কথা posted by তুহিন

,,,,,কিছু কথা,,,,,
যতক্ষণ ঘুমের রাজ্যে থাকা যায়,সেই সময়্টুকুই
নির্ভাবনায় কাটে,
জেগে উঠলেই, কোথা থেকে যেন চিন্তা
ভাবনাগুলো
এসে হানা দেয় প্রতিদিন প্রাতে।
ভাললাগেনা এত ভাবাভাবি,যে ভাবনা মনকে কেবল
করে নষ্ট,
কেন জীবনে দুঃখ আসে, ঘুরে ফিরে বারবার হানা
দেয় কষ্ট।
নির্ভাবনার দিন পেতে চাই,চাই রোদেলা হাসির
ঝঝমলে সুনীল আকাশ,
ফুলের মৌ মৌ সুবাস ছড়াবে জীবনে, প্রতিক্ষণে
মিষ্টি দখিনা বাতাস।
এমন দিন কবে দেবে তুমি,বেঁচে আছি সেই আশায়,
ভাবনা গুলো মনকে শুধুই ভাবায় আর কাঁদায়। সংগৃহিত

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫

ফুসফুস পরিষ্কার করুন by তুহিন

দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে ফুসফুসে বিষাক্ত
পদার্থ জমে যায়, যা দেহের ভীষণ ক্ষতি করতে
পারে। আর আপনি যদি ঢাকা শহরের মতো
জায়গায় বসবাস করেন এবং প্রতিদিন আপনাকে
রাস্তার ধূলোবালি আর বিষাক্ত ধোঁয়া গিলতে
হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনি চেষ্টা করেও
এই পরিবেশে ফুসফুসকে বিষমুক্ত রাখতে পারবেন
না।
সে ক্ষেত্রে আপনার জানা দরকার ফুসফুস
পরিষ্কার করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বোল্ডস্কাই
জানিয়েছে ফুসফুস পরিষ্কারের কয়েকটি সহজ
পদ্ধতির কথা। দুই থেকে তিন দিনের একটি অবসর
সময় বের করুন। এ ছাড়া ছুটিতে থাকার সময় এটি
করতে পারেন।
পর্যায়-১
দুই থেকে তিনদিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার
গ্রহণ বাদ দিন। পাশাপাশি কফি গ্রহণ করবেন না।
এই পদ্ধতি বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করতে
সাহায্য করবে।
পর্যায়-২
রাতে ঘুমের আগে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন।
পর্যায়- ৩
ঘুম থেকে ওঠার পর লেবুর পানি পান করুন। লেবুর
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার পদ্ধতির
জন্য জরুরি।
পর্যায়-৪
সকালের নাশতার সঙ্গে কিছু আনারসের জুস খান।
পর্যায়-৫
সকালের নাশতার পর গাজরের জুস পান করুন। এর
ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।
পর্যায়- ৬
দুপুরের খাবারের পর কলা খান। কলা পটাশিয়াম
পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
পর্যায়-৭
রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। এটা ফুসফুসের
ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
পর্যায়-৮
ব্যায়াম করুন, এতে প্রচণ্ডভাবে শ্বাস সঞ্চালন
হবে। এই শ্বাসপ্রশ্বাস ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে
সাহায্য করবে।
পর্যায়-৯
ঘাম ঝরানোর মধ্য দিয়ে বিষাক্ত পদার্থ দূর
করার জন্য পরের দিন সকালে স্টিম বাথ নিন।
পর্যায়-১০
গরম পানির বাষ্পে ভাপ নিন। গরম পানিতে দুই
ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল যোগ করুন। এই
পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ
বেরিয়ে যায়।

দিগন্ত দেখব না posted by শরীফ

দক্ষিণে যাব না ভুল করে
দেখব না, দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া
বিস্তীর্ণ সবুজ ফসলের মাঠে
আনন্দে ঢেউ খেলে বাতাসে।
দেখব না,গর্জণ তোলা জোয়ারে
আঁচল উড়ানো স্নিগ্ধ হাওয়া
আলো আঁধারীর লাজ ঠোঁটে
সন্ধ্যা তারা জ্বলা আকাশে।
সবুজ মোড়া পাহাড় দেখতে
তাকাব না, অবাক চোখে উত্তরে
চাইব না শরৎ সকালে পূর্ব দিকে
দেখব না লোহিত দিগন্তে সূর্যদয়ে।
দশ দিকে তাঁকে পেতে
সকাল সন্ধ্যা রাত ভরে
ভাববো না, যা বলে লোকে
খুঁজে যাব নিরন্তর নির্ভয়ে।

যদি দেখা হয় posted by তুহিন

আবার যদি দেখা হয় সাঁ সাঁ সমূদ্র গর্জনে
অস্তায়মান সূর্যের লোহিত বর্ণে
রঙ লাগা মূখের উজ্জ্বল্য দিগন্ত ছাড়িয়ে
পশ্চিমাকাশ পানে অবাক নয়নে তাকিয়ে।
আবার যদি দেখা হয় কৃষ্ণপক্ষের প্রথম চন্দ্র প্রহরে
কাছে আসা বড় বৃত্তাভ্যন্তরে
নরম সোনালী জোছোনায়
আমার সবুজে ঘেরা আঙ্গীনায়।
আবার যদি দেখা হয় জনাকীর্ণ নগরের ব্যস্ত পথে
ঘরে ফেরা মানুষের সাথে
শ্রমে ঘামে ভেজা একাকার দেহে
স্বাগত
তোমাকে বিপ্লবে বিদ্রোহে।

অচেনা পথিক by MaNSuR

যে যেমন পারে চিনতে
সে তেমন পারে ভালোবাসা নিতে,
নিশ্চিত নয় এমন তত্ত্বে ।
অনেক চেনায় না হতে পারে জানা,অন্তরাত্মা ,
অল্প জানায় ভালোলাগা হতে পারে, একই পথে
যাত্রা।
যে যেমন পারে আবেগ লুকাতে
সে তেমন পারে বাস্তবে থাকতে,
সুখ সংসার নয় তাতে নিশ্চিত,
প্রকাশ্য দিবালোকের আবেগেও হতে পারে,
প্রপ্তি কিঞ্চিত।
যে যেমন পারে কষ্ট সইতে
সে তেমন পারে অন্যকে সুখ দিতে,
একেবারে থাকে না তাঁর বঞ্চনার ভয়,
কষ্ট প্রকাশেও শান্তি হয়,তবে যত্রতত্র নয়।
যে যেমন পারে করতে যাচাই, কষ্টি পাথরে,
সে তেমন বুঝে নেয় নিখাদ, নিজ অলংকারে,
না দেখেও অতো বেশী,
বুঝে নেয়া যেতে পারে স্বর্ণ হাসি।
যে পার হাসতে অল্প সুখে
সেই সহজে পারে বলতে, ভালোবাসি।

বিবর্ন কবিতা posted by TuHiN

আকাশ নীল আর শান্ত সমূদ্র নীল
মাঝে ভাসায় শঙ্খের সরু ডানা সাদা,
অথচ কবিতা বিবর্ণ দিন দিন।
সমূদ্র পারের ছোট শান্ত শহরের রঙ,
গাঢ় সবুজ হালকা হরিদ্রাভ বৃক্ষ গুল্মে
যেখানে যেমন মোড় যেমন বাঁক
যেমন ভাজ তেমন সাজ ।
সবুজ পাহাড়ের কোলে ঝুলে আছে
নানা রঙের ঘর বাড়ী,
কর্মব্যস্ত মায়ের আঁচলে বাঁধা শিশুর মতো।
আপন গতিতেই চলছে ব্রহ্মান্ড
ভালোবাসা যেমন ছিল হেরফের নেই বিন্দুসম
পূর্ব পশ্চিমে সূর্য উদয়াস্ত এখনো,
কবিতাই বিচ্যুতি হচ্ছে নিজস্ব কক্ষপথ থেকে।
সোমালিয়া কঙ্গোর মানুষের সুস্থতা, একটু
দীর্ঘায়ু আশা,
ইউরোপ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়ায় অমরত্বের তৃষ্ণা
মহাশূন্যে ঘর বাঁধার বাসনা, সবই আছে পেয়ে না
পেয়ে,
কবিতাই শুধু আশাহত আমাদের গণতন্ত্রের মতো।

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

কিছু কথা Posted by Unknown

পৃথিবীর সব সম্পর্কের একটাই সমস্যা; যে
মানুষটাকে তুমি কাছে চাও সে মানুষটা
তোমাকে তোমার মত করে চায় না। এই
একটাই সমস্যা; দুটা না।
তুমি তাকে যেভাবে চাও আজ থেকে সেও
তোমাকে একই ভাবে চাইবে। প্রেসক্রিপশন
লিখে দিচ্ছি। কাজ না হলে মূল্য ফেরত।
একটা কাগজে একটা বক্স করে মাঝখানে
একটা রেখা টানো। বাম দিকে তুমি ডান
দিকে সে। তোমাদের দুজনের এই
সম্পর্কটাতে তার প্রতি তুমি কতটা
মনোযোগী এবং তোমার প্রতি সে কতটা
তার একটা অনুমান নির্ভর পারসেন্টেইজ
বসিয়ে দাও। মনে কর তোমার দিক থেকে ৭০
এবং তার দিক থেকে ৩০ ভাগ।
তুমি কী চাও সে তোমাকে তোমার মতই
ভালোবাসবে ? বক্সের বাম দিকে তোমার
অবস্থান যেটা ৭০ ভাগ আবেগে ভরপুর। এবং
ডান দিকে তার অবস্থান যেটা ৩০ ভাগ।
এখন কাগজটি নিয়ে আয়নার সামনে এসে
দাড়ালেই দেখবে ৭০ ভাগ আবেগের অংশটি
ডান পাশে চলে গেছে ( বক্সের উপরে
দেখবে তার অবস্থান ডান পাশেই ছিল )
এবং ৩০ ভাগের অংশটি বাম পাশে
যেখানে তোমার অবস্থান।
তার মানে কাগজটি উল্টে দিলেই আপাতত
দৃষ্টিতে ব্যাপারটি সম্ভব। কথা হল
সত্যিকার অর্থে এটা কী ভাবে সম্ভব ?
খুব সহজ। সব কিছুই উল্টে দিতে হবে।
তোমার প্রতি তার যে আবেদন ছিল আজ
থেকে তার সাথে তুমি ঠিক তাই করা শুরু
করবে।
তুমি রোজ তিনবার তাকে ফোন দিতে আর
সে হঠাৎ হঠাৎ একদিন। আজ থেকে তুমি আর
রোজ তিনবার ফোন করবে না। তার মতই
হঠাৎ হঠাৎ এক একদিন ফোন করবে।
মনে কর তুমি প্রায় বিকেলে ঘুরতে বের হতে
চাইতে, কোন কোন দিন খুব বৃষ্টি হলে একটু
বেশি ইমোশন হয়ে ভিজতে চাইতে তার
সাথে। সে ছিল নিষ্ক্রিয়। কেন যেন তার
ইন্দ্রিয়গুলো বরাবরই আত্মকেন্দ্রিক ছিল।
তুমি এই সব কিছু উল্টো করে দিবে। এখন
থেকে আর বৃষ্টিতে ইমোশনাল হয়ে তাকে
ফোন করবে না। সে তোমার প্রতি যতটা
উদাসীনতা দেখাত ঠিক ততটাই তাকে
দাও।
তোমার এই হঠাৎ পরিবর্তনে সে কিছু
অভিযোগ করে বসতে পারে। এই ধর, কেন
তুমি আগের মত রোদ বেশি হলে ফোন দিয়ে
এক গ্লাস পানি খাবার কথা বল না??
কেন তুমি ঘুমাবার আগে আর নিয়ম করে
ফোন করে বালিশের পাশে মাথা রাখার
কথা বল না... ?
তার এই সব অভিযোগের জবাবে তুমি সেই
উত্তরটাই দিবে যেটা সব সময় সে দিয়ে
এসেছিল। তোমাকে কিছুদিন তার চরিত্রটা
অভিনয় করে হলেও করে দেখাতে হবে।
আর এটাই হল তোমার ট্রাম্প কার্ড।
দেখবে কিছুদিন তোমার কাছ থেকে সব
কিছু উল্টো করে পাবার পর সেও উল্টে
যাবে। সে তখন তাই করা শুরু করবে যেগুলো
তুমি আগে করতে। রোজ তিনবার ফোন
দিবে। একটু বৃষ্টি হলেই খুব বেশি ইমোশোন
হয়ে ভিজতে চাইবে তোমার সাথে।
একটা কথা মনে রাখবে, তোমার উপস্থিতির
গুরুত্বটা তাকে বোঝাবার জন্য তোমার
অনুপস্থিতিটা প্রয়োজন।

সুন রাহা হে (Ashikee 2) Posted by শরীফ

সুন রাহা হে (Ashikee 2)
Cm………………….F……..
আপনে কারাম কি কার ইয়াদ আয়
Cm………..F…..
ইয়ারা ইয়ারা...ইয়ারা
Cm…………….G#...........
মুঝজো ইরাদে দে কাসমে দে
ওয়াদে দে
A#...................G………G#
মেরি দুয়া কো ইশারো কো
সাহারে দে
দিল কো ঠিকানে দে নেয়ে
বাহানে দে
খাবোকি বারিশো কো মসাম কি
পেমানে দে
Cm…………………F……
আপণে কারাম কি কার ইয়াদে
Cm……………….F….
কার দে ইধার ভি তু নিগাহোমে
…..Cm……………A#........
সুন রাহা হে না তু...রো রাহা হু মে
…..G#.....Fm……………..D#
সুন রাহা হে না তু...কিউ রো রাহা হু
মে
G#......A#.........G………D#.
মান্জিলে রুসওয়া হে...খোয়য়া হে
রাস্তা
G#.....A#..G……..D#..
আয়ে লে যায়ে ইতনা সি ইন্তেজা
G#............D#....G#.........D#..G
ইয়ে মেরি জান্নাত হে….তু মেরে
আমানাত হে....হা
আপণে কারাম কি কার ইয়াদে
কার দে ইধার ভি তু নিগাহোমে
সুন রাহা হে না তু...রো রাহা হু মে
সুন রাহা হে না তু...কিউ রো রাহা হু
মে
ওয়াক্ত ভি ঠেহরাহে কেয়সে কিউ
ইয়ে হুয়া
কাশ তু এসে আয়ে জেসে কো-ই দুয়া
তু রুহ কি রাহাত হে তু মেরি
ইবাদাত হে
আপণে কারাম কি কার ইয়াদে
কার দে ইধার ভি তু নিগাহোমে
সুন রাহা হে না তু...রো রাহা হু মে
সুন রাহা হে না তু...কিউ রো রাহা হু
মে
ইয়ারা...

আধার রাত by তুহিন

আকাশ হতে খসল তারা আঁধার রাতে পথহারা ॥
প্রভাত তারে খুঁজতে যাবে – ধরার ধূলায় খুঁজে পাবে
তৃণে তৃণে শিশিরধারা ॥
দুখের পথে গেল চলে – নিবল আলো , মরল জ্বলে।
রবির আলো নেমে এসে মিলিয়ে নেবে
ভালোবেসে,
দুঃখ তখন হবে সারা ॥

শেষ বিকেল Posted by হেমায়েত উল্যাহ

মনে হল যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ আসিতে
তোমার দ্বারে
মরুতীর হতে সুধাশ্যামলিম পারে॥
পথ হতে আমি গাঁথিয়া এনেছি সিক্ত যূথীর মালা
সকরুণ - নিবেদনের- গন্ধ ঢালা –
লজ্জা দিয়ো না তারে॥
সজল মেঘের ছায়া ঘনাইছে বনে বনে ,
পথ - হারানোর বাজিছে বেদনা সমীরণে।
দূরে হতে আমি দেখেছি তোমার ওই বাতায়নতলে
নিভৃতে প্রদীপ জ্বলে–
আমার এ আঁখি উৎসুক পাখি ঝড়ের অন্ধকারে॥

জোকস Posted by TuHiN & Hemayet

কিছো অদ্ভুদ প্রশ্ন ও তার সঠিক জবাব মজা না
পেলে বললাম কি!
১) প্রশ্নঃ কোন জিনিসটা করলে, ভিতর থেকে
বাচ্চা
বের হয়ে আসে ??
উত্তরঃএইটা হচ্ছে স্কুলের ছুটির ঘন্টা। ____
২) প্রশ্নঃ একটা মেয়ে তার পরনের সব কাপড়
ফেলে
দিলে এরপর কি হয় ??
উত্তরঃ কি আর হবে ,খালি আলমারি থাকবে !
আপনে
কি ভাবছিলেন ?
৩) প্রশ্নঃ বলা হয় , মেয়েদের হাতে নাকি অনেক
জাদু আছে !
আসলেই , দেখেন না , ক্যামনে দুই
ইঞ্চি
জিনিসটারে ছয়
ইঞ্চি বানায়া ফেলে !!বলেন তো জিনিসটা কি??
উত্তরঃ এই যে হ্যালো , আমি রুটি বানানোর কথা
বলছিলাম।
৪) এমন কি জিনিস যেটা টিপতে যুবক ছেলেরা
বেশি মজা পায়??
উত্তরঃআরে না!!!!এইটা হবে মোবাইল ফোন।
৫) এমন কি জিনিস যেটা মেয়েদের খুব পছন্দ??
উত্তরঃ টাকারে মামা টাকা। টাকা আছে তো
জি.এফ আছে,, টাকা নাই জি.এফও নাই।
৬) এমন কি জিনিস আছে যেটার সামনে মেয়েরা
গেলে গরম হয়ে যায়??
উত্তরঃ রান্নাঘরের চুলা।
প্রশ্ন৭:এমন কি জিনিস যেটা উপরে তুলতে বা
উঠাতে বললে মেয়েরা রাগ করে???
উত্তর :কুয়া থেকে পানি উঠাতে বললে।

আমার একলা একটা দিন BY TuHiN

আমার একলা একটা দিন,
রৌদ্র-ছায়া বিহীন।
আমার একলা একটা রাত,
মেঘে ঢাকা চাঁদ।
আমার স্বপ্নগুলো,
পুরানো মলাটে মাখানো ধূলো।
আমার ইচ্ছেডানা,
যে পাখির পাখা মেলতে মানা।
আমার বেদনা ক্ষত,
ঘূণে ধরা বাশের মত।
আমার আনন্দের ক্ষণ,
ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু স্থায়ী যতক্ষণ।
আমার জীবনের অঙ্ক,
মিছে মায়ায় সাজানো পালঙ্ক।
আমার জীবনের পাওয়া না পাওয়ার গল্প,
নীল আকাশে রঙীন ঘূড়ির উড়ে বেরানোর কল্প।
 copy

পরীমণি

চাঁদনী রাত ,
গলে গলে পড়ছে জোস্না ,
চারদিক নীরব এমনকি ঝিঁঝিঁ
পোকার শব্দ পর্যন্ত নেই ।
বড় বড় কাঁশফুলের গাছ ,
সাদা সাদা কাঁশফুলের রাজত্ব চারপাশে ,
যতদুর চোঁখ যায় কেবল সাদা আর সাদা ।
শুদ্ধতার , পবিত্রতার সীমাহীন এক স্বর্গীয় অনুভুতি
আবিরের মনে দোলা দিয়ে যাচ্ছে বারবার ।
জায়গাটা ওর কাছে খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে
কিন্তু আগে কখনো এসেছে বলে মনে হচ্ছে না ।
কাঁশবাগানের ভিতর দিয়ে সরু একটা পথ
চলে গেছে এঁকেবেঁকে সেই পথ ধরেই হেঁটে যাচ্ছে
আবির ,
যদি অনন্তকাল ধরে এ পথে হাঁটা যেত ,
যদি এসময় পরী মণিও সাথে থাকতো কতইনা ভালো
হত !
পরীমণির কথা মনে পড়তেই মামার মন খারাপ হয়ে
গেল ।
মামা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে ,
পরীমণি ওর ক্লাসমেট ।
পরীমণির বাবা সরকারী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা
,
ঢাকা থেকে বদলি হয়ে তিনি এই মফস্বল শহরে
এসেছেন ।
তাই পরীমণিকেও বাধ্য হয়েই এই স্কুলে ভর্তি হতে
হয়েছে ।
পরীমণি খুবই মেধাবী ছাত্রী
ঢাকার এক নামকরা স্কুলেই ওর রোল ছিল এক ।
পরীমণি আসার আগে মামা ছিল ক্লাসের সেরা
ছাত্র ,
কিন্তু যখন ১ম সাময়িকের রেজাল্ট বেরুল
তখন সবার চোঁখ কপালে উঠে গেল !
কারন প্রতিটি সাবজেক্টেই পরীমণি ৯৫ এর উপর
নাম্বার পেল !
আর অংকে পেল ১০০ তে ১০০ !
মামা ভাবতেই পারেনা অংকে কেউ ১০০ পায় কি
করে !
ও কখনো ৬০ এর উপর পায়নি , আর এবার পেয়েছে ৫৮ ।
পরীমণি মেয়েটা দেখতেও ছিল পরীমণির মত ,
ক্লাসের সবার সাথেই ওর ভালো সম্পর্ক একমাত্র
মামা ছাড়া ।
মামা কিছুতেই পরীমণিকে সহ্য করতে পারছিল না ।
কারন ওর মান সম্মান একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে
দিয়েছে মেয়েটা !
এতদিন ও ছিল সেরা ছাত্র স্যাররা সবাই ওকে আদর
করতো ,
কিন্তু এখন ঐ মেয়েটা কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে
বসেছে !
মামা কথা না বললে কি হবে পরীমণি কিন্তু
সেধেসেধেই মামার সাথে কথা বলতো ,
প্রথম প্রথম ও উত্তর দিত না কিন্তু
পরীমণি এমন সুন্দর করে কথা বলে জবাব না দিয়ে
থাকা যায় না ।
মামার মাঝে মাঝে ভাবে এত সুন্দর করে কথা বলে
কিভাবে মেয়েটি !
ও আয়নার সামনে দাড়িয়ে কয়েকবার চেষ্টা
করেছিল
পরীমণির মত করে কথা বলতে
কিন্তু নিজের কথা শুনে নিজেরই হাসি পেত !
মামা ধীরে ধীরে পরীমণির প্রতি দুর্বল হতে
লাগলো ,
মামার ধারনা ছিল পরীমণিও মনে হয় তার মত করেই
ভাবছে ।
২য় সাময়িক পরিক্ষার কিছুদিন আগে মামা জানতে
পারলো
পরীমণির বাবা আবার ঢাকায় বদলি হয়ে গেছে ।
কয়েক দিনের মধ্যেই ওরা চলে যাবে ।
মাা একসময় যে পরীমণির সাথে কথা বলতোনা
এখন সেই পরীমণি চলে যাবে শুনে
ওর নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ।
মামা : তুমি নাকি ঢাকায় চলে যাচ্ছ ?
পরীমি : হ্যা , বাবা বদলি হয়ে গেছেতো তাই ।
তুমি নিশ্চয় খুব খুশি , তোমার রোল আবার এক হবে ।
মামা চোঁখ দুটি টলমল করতে লাগলো ,
আবার একটা মেয়ের সামনে ও প্রায় কেঁদে দিচ্ছে
এটা ভেবে লজ্জাও পাচ্ছে ।
শেষ পর্যন্ত লজ্জারই জয় হল !
ও কোন রকমে কাঁন্না আটকাল ।
তারপর পরীমণির হাতে একটা কাগজ দিয়ে দৌড়ে
পালাল ।
ভালো ছাত্রী পরীমণি ,
তুমি অনেক সুন্দর ,
তোমার কথাগুলো আরও সুন্দর ।
এত সুন্দর করে কেউ কথা বলতে পারে আমি জানতাম
না ।
তোমাকে আমার অনেক ভালো লাগে ,
তুমি যদি আমার চেয়ে খারাপ ছাত্রী হতে
তাহলে তোমাকে আমি "I love you" কথাটা বলতাম ।
কিন্তু তুমি পড়ালেখায় আমার চেয়ে অনেক অনেক
ভালো তাই
"I love you" বলতে আমার লজ্জা লাগে ।
তাছাড়া তোমরা শহরে থাক আর অনেক সুন্দর করে
কথা বল ।
কিন্তু তুমি খুব ভালো মেয়ে ।
ইতি
খারাপ ছাত্র মামা ।
দাড়াও ! দাড়াও ! আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি ।
আমি যে তোমাকে এই চিঠিটা দিয়েছি কাউকে
বলনা ,
তাহলে সবাই আমাকে খারাপ মনে করবে । ।
আগামীকাল পরীণি চলে যাবে ,
মামার সাথে আজই ওর শেষ ক্লাস
কিন্তু এই কয়দিনে চিঠির বিষয়ে
মামার সাথে পরীমণি কোন কথাই বলেনি ।
ক্লাস শেষে পরীমণি সবার কাছ থেকে বিদায় নিল
তারপর মামার সাথে কিছুক্ষন কথা বলল . .
পরীমণি: ভালো থেকো মামা ,
কাল আমরা চলে যাচ্ছি ।
এখন আমাদের পড়ালেখা করার সময় ,
আমার আব্বু আম্মু চায় আমি যেন ডাক্তার হই ,
তাই আমাকে ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে ।
আর তুমিও খুব ভালো ছেলে
চেষ্টা করলে অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবে

তাহলে ঢাকায় গিয়ে ভালো কলেজে পড়তে পারবে
তখন হয়ত আমার সাথে আবার দেখা হয়ে যেতে
পারে ।
মামা মনে মনে ভাবছে কি সুন্দর করে
কথা বলছে মেয়েটা , কত কিছু নিয়ে ভাবছে । । ।
মামা পরীমণির কথা ভাবছে আর সেই সরু পথ ধরে
হেঁটে যাচ্ছে ,
পরীমণির সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা বারবার
মনে পড়ছে ।
হঠাত্ করে কাঁশবনে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করলো !
হাজার হাজার জোঁনাকী কোথা থেকে এসে
জুটেছে পুরো কাঁশবন জুড়ে !
হঠাত্ ও খেয়াল করলো আকাশ থেকে একটা
আলোর ছটা ক্রমশ ওর দিকে এগিয়ে আসছে !
কাছে আসতেই ও চিত্কার দিয়ে বলে উঠলো
পরীমণি তুমি ? ?
পরীমণি কোন কথা বললনা ,
যখনি ও পরীমণিকে ছুতে চাইল ওমনি পরী আকাশে
মিলিয়ে গেল ! !
আর সাথে সাথেই মামার ঘুম ভেংগে গেল ।
পরীমণি ঢাকা চলে গেছে প্রায় তিন মাস হল ,
তারপর থেকে মামার প্রায় প্রতি রাতেই এই স্বপ্নটা
দেখে ।
কিন্তু আজ মামার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ।
এভাবে স্বপ্ন দেখে আর না ,
"স্বপ্নের পরীমণিকে হয়ত ছোয়া যায় না
কিন্তু বাস্তবের পরীমণিকে ছোয়া যায় ,
অন্তত চেষ্টাতো করা যায়"
আজ থেকে ও আরও ভালোভাবে পড়াশুনা করবে
"নিজের জন্য , পরীমণিকে ছোয়ার জন্য"
তুই দূরে থাক
যার খুশী থাক
তোর ভাবনায়
যে কেউ বেড়াক
আমার দাবি তিল কখানা
কেবল আমার
আমার থাকুক
আমায় ভাবুক
স্পর্শে কিংবা স্পর্শহীনে...
॥ভালবাসা , নাকি মোহ ? ॥
- -
দু'মাস আগেও যে মেয়েটাকে আমার কাছে অপরুপা ,
অনন্যা লাগছিল আজ তাকে খুবই এভারেজ লাগছে ।
আগে যে মেয়েটাকে দেখলে বুকের বাঁ'পাশটায়
চিনচিনে ব্যাথা করতো , এখন তার দিকে আর ফিরে
তাকাতেও ইচ্ছে করে না ।
এক সময় যাকে না পেলে মরে যাব ভাবতাম , এখন
মনেহয় . . . ধুর ! যত্তসব ফালতু ভাবনা ! !
এর কারন কি বলেনতো ?
উত্তরটা খুবই সহজ । এই দু'মাসে আমি ঐ মেয়ের
চাইতেও সুন্দরী , আকর্ষনীয় এক বা একাধিক
মেয়েকে দেখেছি । তাই স্বাভাবিকভাবেই আগের
মেয়েটার প্রতি আমার আকর্ষন কমে গেছে ।
আসলে ঐ মেয়েটাকে আমি কখনোই ভালবাসিনি ।
যদি ভালবাসতাম তবে অন্য মেয়ের সাথে তাকে
কখনোই তুলনা করতাম না । ঐ মেয়ের প্রতি আমার
যা ছিল , সেটা স্রেফ একটা মোহ ।
আর আমরা ভুলটা করি এখানেই , মোহটাকে
ভালবাসা ভেবে বসে থাকি । তারপর যা হবার তাই
হয় . .
আসলে একটা কথা কি . . . যাকে মন থেকে
ভালবাসবেন তাকে কখনোই নিজের কাছে অসুন্দরী
মনে হবে না । হাজার সুন্দরীদের ভিড়েও তাকে
সবচেয়ে আলাদা এবং ইউনিক মনে হবে ।
এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন . . . যাকে ভালবাসেন
ভাবছেন তাকে সত্যিই ভালবাসেন কি-না ।
- -


পোষ্টটি Radiomunna.com page থেকে কপি করা হয়েছে। 
জীবনের কিছু চাওয়া-পাওয়া শুধুই যেন
গল্প, সিনেমা ও নাটকেই হয় মাত্র!
বাস্তবে তা যেন দুরহ!
তবুও আমাদের স্বপ্নের শেষ নেই!
স্বপ্নডিঙ্গায় হাল না ছাড়া মাঝি যেন আমরা
সকলেই
কোনো না কোনো সময় উত্সাহে উজ্জীবিত!
যা কিছুই ঘটুক না কেন চারপাশে জীবন চলার পথে-
প্রত্যয়ে থাকুক মেনে নেয়ার স্বাভাবিকতা!
মানুষের উত্সাহে মানুষ এগিয়ে যায়.....
মানুষের অবহেলায় মানুষ কষ্ট পায়....!!
আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে পাওয়া না
পাওয়ার অপুর্নতা আছেই... সেটা একজন ছোট শিশু
থেকে শুরু করে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি পর্যন্ত...
যখন একটা ছোট শিশু তার পছন্দমত খেলনা টা না
পায় ঠিক তখন সে মনে মনে নিজেকে অপুর্ন ভাবে..
সে ছোট হলেও তার মধ্যে সেই অনুভুতি টুকু ঠিকি
কোনো না কোনো ভাবে কাজ করে...
পর্যায়ক্রমে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি যখন দিনের
পর দিন আয় রোজগারের জন্যে এখানে সেখানে
তার চাকুরী খুঁজে বেড়ায়, আর তাতে সে যদি ব্যর্থ
হয়,
ঠিক তখনি তার অপুর্নতা গুলো তার মাঝে ঘুরপাক
খেতে থাকে... প্রতি মুহুর্ত নিজের সাথে যুদ্ধ করতে
হয় তখন!!
অতঃপর,, একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি যখন তার জীবনের শেষে
এসে তার পর্যাপ্ত সেবা, ভালোবাসা কিংবা
যথার্থ মর্যাদা টুকু পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়,
তখন সে তার সারা জীবনের পাওয়া না পাওয়ার
হিসেব নিয়ে বসে,, তখন তার পাওয়া গুলো ও যেনো
না পাওয়া হয়ে যায়,, মনে মনে সে যে কতোটা
অপুর্ন ভাবে তা কেবলমাত্র সে নিজেই বুঝতে
পারে.......
আসলে আমরা কখনোই, কোনভাবেই পরিপূর্ন না...
এক ধরনের " অপুর্নতা " সবসময় ই থাকবে আমাদের
ঘিরে.........................!!!!!
তবুও, আমরা পথ চলবো..
আর জীবন এভাবেই চলতে চলতে একদিন থেমে
যাবে!!!!!

আসসালামু আলাইকুম,  নতুন ব্লগে যাত্রা শুরু করলাম. সবাই দোয়া করবেন।